রাকিব রিফাত,ইবি প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থীরা শিক্ষকরা আসন্ন শিক্ষক  সমিতির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব), জিয়া পরিষদ ও সাদা দল নেতৃবৃন্দরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে আওয়ামীপন্থীরা দুইটি প্যানেলে ও জামায়াতপন্থীরা একটি প্যানেলে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামীপন্থীরা একটি প্যানেলে ঐক্যবদ্ধ  নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির প্রতিবাদ ও কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের পরামর্শের আলোকে আমরা আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের অবস্থান থেকে কথা বলার মতো পরিবেশ নেই। আমরা নীরব প্রতিবাদ জানানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও পূর্ণ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছে জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ আগামী ১৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ই ডিসেম্বর এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় বলে জানান নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে, গত ৫ই ডিসেম্বর ইবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২৩ এর তফসিল ঘোষণা করা হয়৷ সেই অনুযায়ী আগামী ১৯শে ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪২৭ নম্বর কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।

জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গ্রীন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড.  ওলীউল্লাহ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীপন্থী এক শিক্ষক নেতা বলেন, আমরা দুটি প্যানেলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। এক প্যানেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

ইউট্যাবের সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় নির্বাচনে না অংশ গ্রহণ করায় আমরা শিক্ষক সমিতির নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করছি না।

নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি আমি ফেসবুকে দেখেছি। এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলার তো কোন সুযোগ নেই। কারণ শিক্ষক সমিতি কাগজে-কলমে অরাজনৈতিক সংগঠন। ফলে কোন রাজনৈতিক সংগঠন কিংবা তার অঙ্গ সংগঠন নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের এখানে প্রভাবিত হওয়ার কথা না। বিশেষভাবে কোন সংগঠনের সাথে আলাপ করার সুযোগ নাই। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার।